বুধবার, ১২ জুন ২০২৪

সরকারি দামে মিলছে না সার, বাড়ছে আমন উৎপাদন খরচ

ইউরিয়ার খোঁজে লাইনে দাঁড়িয়েছেন কৃষকরা। ছবি: দৈনিক বাংলা
পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত
পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০৮:২৮

পাবনায় সরকারনির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে রাসায়নিক সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। কৃষকদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) ডিলাররা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করায় খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে।

তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় বাজারে সংকট তৈরি হয়েছে। আর কৃষি বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, জেলায় সারের কোনো সংকট নেই। ইউরিয়া সারের অতিরিক্ত বরাদ্দও দিয়েছে মন্ত্রণালয়। কৃষকদের মাঝে গুজব ছড়িয়ে একটি চক্র বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে।

বর্তমানে আমনের ভরা মৌসুম চলছে। এ সময় সারের বাড়তি দামের কারণে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। তারা বলছেন, গত এক সপ্তাহ ধরে বিসিআইসির ডিলারদের কাছ থেকে চাহিদা অনুযায়ী সার মিলছে না। কেবল সরকারনির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দিলেই সার পাওয়া যাচ্ছে। একই চিত্র খুচরা বাজারেও। বেশি দামে যারা সার কিনছেন তাদের আমন উৎপাদনের খরচও বাড়ছে।

পাবনার সদর, আটঘরিয়া ও ঈশ্বরদী উপজেলায় সারের কয়েকটি খুচরা দোকানমালিকের সঙ্গে বলে জানা গেছে, সরকারনির্ধারিত প্রতি কেজি ইউরিয়া সারের দাম ২২ টাকা হলেও বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। এমওপি, পটাশ, টিএসপিসহ সব ধরনের সারের জন্য প্রতি কেজিতে কৃষককে সরকারনির্ধারিত দরের চেয়ে ১০-১২ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে। দাম বাড়ার জন্য ডিলারদের দুষছেন খুচরা দোকানিরা।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সদরের দাপুনিয়া ইউনিয়নের বিসিআইসি ডিলার আবু তালেবের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, ইউরিয়া সার কিনতে ভিড় করেছেন আশপাশের গ্রামের কৃষকরা। বন্ধ দোকান না খুলেই ম্যানেজার জানালেন সার নেই। দীর্ঘ অপেক্ষায় সার না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যান কৃষকরা।

মির্জাপুর থেকে আসা কৃষক আব্দুস সালাম বলেন, সার কিনতে গেলে বিক্রেতারা সংকটের কথা বলে দাম বেশি নিচ্ছেন। বিক্রয় রসিদ চাইলেও তা দেয়া হচ্ছে না। দর-কষাকষি করতে গেলে সার না দিয়েই অপমান করে তাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। দোকানে মূল্যতালিকা টাঙিয়ে রাখলেও সে দাম রাখা হচ্ছে না।

আটঘরিয়ার দিকশাইল গ্রামের কৃষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগে ইউরিয়া সারের দাম বাড়িয়েছে সরকার। এখন যদি কৃষকদের সার পেতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় বা নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি রাখা হয়, তাহলে তারা আমন ধান চাষে নিরুৎসাহিত হবেন। এতে ফলন কমে গিয়ে লোকসান বাড়বে। অন্যদিকে বাজারে চালের দামও বাড়বে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কৃষক ও খুচরা সার দোকানির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সার ডিলারদের অধিকাংশ রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী। অভিযোগ রয়েছে, তারা মৌসুমে যে সার বরাদ্দ পান সেটা উত্তোলন না করে বরাদ্দপত্রটা একশ্রেণির অসৎ ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেন। সেই বরাদ্দপত্র ক্রয়কারীরা গুদাম থেকে সার উত্তোলন করে বেশি দামে বিক্রির জন্য সার মজুত করেন। এ অবস্থায় কৃষকপর্যায়ে কৃত্রিম সারসংকট দেখা দেয় ও বেশি দামে কৃষকরা কিনতে বাধ্য হন।

পাবনা সার ব্যবসায়ী সমিতির কোষাধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত বরাদ্দ পাওয়া সার আশুগঞ্জ থেকে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

এদিকে পাবনায় ইউরিয়াসহ কোনো সারেরই সংকট নেই বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন। তিনি জানান, চলতি আমন মৌসুমে পাবনায় চাহিদার অতিরিক্ত ১ হাজার ৫০০ মেট্রিক টনের বেশি ইউরিয়া সার বরাদ্দ পেয়েছে কৃষি বিভাগ। বিসিআইসির ১০১ জন অনুমোদিত ডিলারের মাধ্যমে শিগগিরই তা কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ শুরু হবে। বাজার কারসাজি খতিয়ে দেখতে মাঠে নেমেছে প্রশাসন।


সেন্টমার্টিনগামী স্পিডবোটে আবারও মিয়ানমার থেকে গুলি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১১ জুন, ২০২৪ ২১:০৮
টেকনাফে (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

মিয়ানমারে সংঘাতের জেরে টানা চার দিন ধরে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচল বন্ধ আছে। গত শনিবার (৮ জুন) দুপুর ১টার দিকে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার সময় নাফ নদীর মাঝপথে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী ভর্তি একটি ট্রলার লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়।

সর্বশেষ আজ মঙ্গলবার সকালে সেন্টমার্টিনগামী একটি স্পিডবোটকে লক্ষ্য করে মিয়ানমারের ওপার থেকে গুলি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। ফলে সেন্টমার্টিন দ্বীপের জনসাধারণের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, গত শনিবার গুলি বর্ষণের পর আবারও আজ মঙ্গলবার পণ্যসামগ্রী ভর্তি একটি ট্রলার লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে কেউ হতাহত না হলেও ট্রলারটি দ্বীপে আসতে পারেনি। এরপর থেকে ভয়ে আর কোনো ট্রলার টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে চলাচল করেনি। এর ফলে দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে সেন্টমার্টিনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নৌযান চলাচল শুরু না হলে সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্রায় সাড়ে ১০ হাজার মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সংকট দেখা দিতে পারে।

এদিকে, এ নৌপথে ট্রলার চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ও বিজিবির টহল জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী জানিয়েছেন, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে বিজিবি ও কোস্ট গার্ড কাজ করছে। এ ঘটনায় আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি খুবই খারাপ। এর পরিপ্রেক্ষিতে দ্বীপে অবস্থানরত মানুষ খাদ্যসংকটে পড়বে। সেখানে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী নাকি বিদ্রোহীরা গুলি চালাচ্ছে, তা-ও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ গুলি ছোড়ার বিষয়টি শুনেছেন বলে জানান। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, সার্ভিস ট্রলারে গুলিবর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির কাছে প্রতিবাদলিপি পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলা সংঘাত বাংলাদেশ সীমান্তেও ছড়িয়ে পড়ে। এর জেরে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। কয়েক দিন ধরে নাফ নদের নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে পণ্যবাহী ট্রলারেও মিয়ানমার থেকে গুলি ছোড়া হচ্ছে।


পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের কার্যক্রম শুরু

প্রথমবারের মতো কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনায় বিদেশি প্রতিষ্ঠান
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১১ জুন, ২০২৪ ০০:০৩
চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম বন্দরে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের (পিসিটি) অপারেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের ইতিহাসে এই প্রথম বিদেশি অপারেটরের অধীনে পিসিটির কার্যক্রম শুরু হলো। এ বন্দরে গতকাল সোমবার বিকালে ভিড়েছে বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি মায়েরস্ক দাভাও। রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালটি (আরএসজিটি) পরিচালনা করছে।

এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েলসহ বন্দর, আরএসজিটি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরউইন হেইজসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে ২২ বছরের কনসেশন চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল। এরপর প্রথম বাণিজ্যিক জাহাজ ভিড়ল এ টার্মিনালের জেটিতে।

নিজস্ব ক্রেনযুক্ত ফিডার জাহাজটি মালয়েশিয়ার পোর্ট কেলাং থেকে আরএসজিটির চট্টগ্রাম টার্মিনালে প্রায় আটশ টিইইউস রপ্তানি পণ্য বোঝাই ও খালি কনটেইনার লোড-আনলোড করে ইন্দোনেশিয়ার বেলাওয়ান বন্দরে যাওয়ার কথা রয়েছে।

আরএসজিটি ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত, সৌদি আরবের শীর্ষস্থানীয় বন্দর উন্নয়নকারী এবং অপারেটর, যার ফ্ল্যাগশিপ টার্মিনাল জেদ্দা ইসলামিক পোর্টে অবস্থিত। যা সৌদি আরব এবং লোহিত সাগরের বৃহত্তম কনটেইনার টার্মিনাল। বছরে ৬ দশমিক ২ মিলিয়ন টিইইউস হ্যান্ডলিং করে থাকে।

৫৮০ মিটার দীর্ঘ ও ১০ মিটার ড্রাফটের পিসিটিতে একসঙ্গে তিনটি জাহাজ ভিড়তে পারবে। পিসিটি ও সাউথ কনটেইনার ইয়ার্ড মিলে ২ লাখ ৮ হাজার বর্গমিটার। পিসিটিতে কনটেইনার হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট ও প্রযুক্তিনির্ভর বন্দর ব্যবস্থাপনায় ১৭০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে চারটি উন্নত উচ্চক্ষমতার শিপ টু শোর (এসটিএস) ক্রেন, রাবার টায়ার গ্যান্ট্রি ক্রেন (আরটিজি) ও আধুনিক হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ করা হবে। যা টার্মিনালের বার্ষিক কনটেইনার হ্যান্ডলিং ক্ষমতা আড়াই লাখ টিইইউস থেকে ৬ লাখ টিইইউস পর্যন্ত বাড়াবে।

এরউইন হেইজ বলেন, আমরা ক্যাপ্টেন মায়ো মিন থান এবং মায়েরস্ক দাভাওকে আরএসজিটি-চট্টগ্রামে স্বাগত জানাতে পেরে গর্বিত এবং এই নতুন কনসেশন চুক্তির অধীনে প্রথম আনুষ্ঠানিক জাহাজ আগমনের গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক উদযাপন করছি। আমরা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এবং বৈশ্বিক লজিস্টিক চেইনে চট্টগ্রাম বন্দরের কেন্দ্রীয় ভূমিকা বাড়াতে অবদান রাখতে উন্মুখ। আমরা বাংলাদেশ সরকার, বন্দর কর্তৃপক্ষ, এনবিআর, কাস্টমস এবং আমাদের দীর্ঘসময়ের ব্যবসায়িক অংশীদার মায়েরস্ককে ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। তারা আমাদের বাংলাদেশের শিপিং কমিউনিটি এবং বৈশ্বিক বন্দর শিল্পকে বিশ্বমানের সেবা দেওয়ার সুযোগ দিয়েছে।

রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বলেন, আজ আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের দিন। চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য ঐতিহাসিক দিন। চট্টগ্রাম বন্দরের বয়স ১৩৭ বছর। এ দীর্ঘ পথচলায় প্রথমবারের মতো একটি টার্মিনাল বিদেশি অপারেটর গ্লোবালি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান রেড সি গেটওয়েকে পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছি। চট্টগ্রাম বন্দরের পক্ষ থেকে আগামী ২২ বছর টার্মিনালটি তারা অপারেট করবে।

রেড সি গেটওয়ে পিসিটিতে দেড় হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। রেভিনিউর একটি বড় অংশ শেয়ার করবে। সব ইক্যুইপমেন্ট তাদের নিজস্ব। ২২ বছর পর সব ইক্যুইপমেন্ট আমাদের বন্দরের হয়ে যাবে।


কক্সবাজার ‘মহাপরিকল্পনা’ প্রণয়নে জনপ্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১০ জুন, ২০২৪ ২১:৪৯
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পরিকল্পিত নগরায়ণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘কক্সবাজার জেলার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার সকালে টেকনাফ পৌরসভার বার্মিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভার আয়োজন করে কক্সবাজার জেলা মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এডহক সি.এস.সি।

প্রকল্পের ডেপুটি টিম লিডার খন্দকার নিয়াজ রহমানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান।

খন্দকার নিয়াজ রহমান বলেন, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বাস্তবায়নাধীন মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের এ প্রকল্পটির মাঠ পর্যায়ের কাজ গত বছর অক্টোবর মাস থেকে শুরু হয়েছে। আগামী বছর মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও জরিপের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। পরবর্তীতে ৩ থেকে ৪ মাস সময় নেওয়া হবে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মতামত নিতে।

তিনি আরও জানান, প্রকল্পের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কৌশলগত পরিকল্পনা তৈরি করা হবে এবং কক্সবাজার-রামু ও টেকনাফের মহাপরিকল্পনা তৈরি হবে। নতুন করে প্রণয়ন করতে যাওয়া এ মহাপরিকল্পনায় সর্বস্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করে করা হচ্ছে। এতে আগামীতে কক্সবাজারের যে উন্নয়ন হবে তাতে আমূল পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগবে।

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার জেলার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন বাস্তবায়নে প্রকল্পটির আওতায় কক্সবাজার জেলার নয়টি উপজেলা এবং সমুদ্র সৈকত এলাকাসহ মোট ৬৯০.৬৭ বর্গ কি.মি. এলাকার ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যানের (উঅচ) আওতায় আসবে এবং সমগ্র কক্সবাজার জেলার ২৪৯১.৮৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকার জন্য স্ট্রাকচার প্ল্যান প্রণয়ন করা হবে।

কউকের বাস্তবায়নাধীন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন প্রকল্পের এ মতবিনিময় সভায় টেকনাফ পৌরসভা ও উপজেলার সকল ইউপি চেয়ারম্যান, মেয়র, কাউন্সিলর এবং ইউপি সদস্যরাসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ অংশ নেন। মতবিনিময় সভায় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য, পৌর মেয়র ও কাউন্সিলাররা মতামত ব্যক্ত করেন।

‘কক্সবাজার জেলার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের নিমিত্তে প্যারিস আরবান এন্ড রিজিওনাল অ্যাসেসমেন্ট’ বিষয়ে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।


রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ৩ রোহিঙ্গাকে হত্যা

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে রক্তপাত যেন থামছেই না। আজ সোমবারও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তিন রোহিঙ্গাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন আরও সাতজন। এ ঘটনার জন্য মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন আরসাকে দায়ি করেছে আশ্রয়শিবিরের বাসিন্দারাসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত এপিবিএন ও থানা পুলিশ বলছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার সদস্যরা এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। নিহত ও আহতরা আরএসও সদস্য।

আজ সোমবার ভোরে উখিয়ার মধুরছড়া ৪-এক্সটেনশন নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক মোহাম্মদ ইকবাল।

নিহতরা হলেন উখিয়ার মধুরছড়া ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জাফর আহমেদের ছেলে মো. ইলিয়াছ (৩১), একই ক্যাম্পের মৃত আবদুর রকিমের ছেলে মো. ইছহাক (৫৪) এবং ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মো. ইসমাইলের ছেলে ফিরোজ খান (১৮)।

এ ঘটনায় আহতদের ৩ জনের নাম-পরিচয় এপিবিএনের পক্ষে নিশ্চিত হওয়া গেলেও অপর ৪ জনের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি।

পরিচয় পাওয়া আহত ৩ জন হলেন, ৪ নম্বর ক্যাম্পের মো. হাছানের ছেলে আব্দুল হক (৩২), নজির আহমদের ছেলে আব্দুস শুক্কুর (৫৫) ও মৃত ওমর মিয়ার ছেলে আব্দুল মোনাফ (৬০)।

আহতরা কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল ও উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এনজিও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, ভোরে ৪০-৪৫ জন আরসা সন্ত্রাসী পাহাড় থেকে সীমানার কাঁটাতারের বেড়া অতিক্রম করে ৪ নম্বর ক্যাম্পে আসে। ঘটনাস্থলে এসে ক্যাম্পে পাহারারত রোহিঙ্গা ইলিয়াছকে গুলি করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাতে, পায়ে ও তলপেটে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এতে ইলিয়াস ঘটনাস্থলেই মারা যান।

এ সময় ঘটনার খবর শুনে সাধারণ রোহিঙ্গারা এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে আহত হন আরও ৬ জন। পরে তাদের উদ্ধার করে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরও ২ জন।

এপিবিএন পুলিশের এ অধিনায়ক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে এপিবিএন সদস্যদেরও লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে সন্ত্রাসীরা। সরকারি সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষার্থে পুলিশও সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে পাল্টা ১৬ রাউন্ড শর্টগানের লেডবল কার্তুজ ফায়ার করে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

ইকবাল বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নতুন করে সংগঠিত এবং নাশকতা করার চেষ্টা করছে আরসা। মূলত আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘবদ্ধ হয়ে হামলা চালায় আরসা সন্ত্রাসীরা। এতে তারা গুলি এবং কুপিয়ে ৩ রোহিঙ্গাকে হত্যা করে। আর গুরুতর আহত হয় ৭ জন। হতাহতরা আরএসও সদস্য বলে জানা গেছে।

উখিয়া থানার পরিদর্শক মো. শামীম হোসেন বলেন, নিহত ৩ রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।


সিলেটে টিলা ধসে একই পরিবারের তিনজন নিহত

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সিলেট ব্যুরো

ভারী বৃষ্টিতে সিলেটে টিলা ধসে শিশুসহ একই পরিবারের তিন সদস্য নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও তিনজন।

আজ সোমবার সকাল ৬টার দিকে টিলা ধসে একটি আধাপাকা ঘরের উপর পড়লে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার পর প্রায় ৬ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে দুপুর ১২ টার দিকে নিহতদের উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার অভিযানে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও অংশ নেয়।

নিহতরা হলেন- আগা করিম উদ্দিন (৩১), তার স্ত্রী শাম্মী আক্তার রুজি (২৫) ও তাদের শিশু সন্তান নাফজি তানিম। সকালে দুর্ঘটনার সময় তারা সকলেই ঘরের ভেতরে ঘুমিয়ে ছিলেন।

জানা যায়, ভারিবৃষ্টিতে সোমবার ভোর ৬টায় চামেলীবাগ এলাকার ২ নম্বর রোডের একটি টিলা ধসে ৮৯ নম্বর বাসার উপর পড়ে। এতে এই বাসায় ভাড়া থাকা ছয় সদস্য মাটির নিচে চাপা পড়েন। তিনজনকে তাৎক্ষণিক জীবিত উদ্ধার করা হয়। তাদের আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং আরও তিনজন তখন নিখোঁজ থাকেন।

সকাল ৭টা থেকেই তাদের উদ্ধারে অভিযানে নামে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। সিটি করপোরেশনের কর্মীরাও তাদের উদ্ধারে অভিযানে নামে। তবু তাদের মিলছিলো না।

এরপর বেলা ১২ টার দিকে অভিযানে যোগ দেয় সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনী অভিযানে নামার কিছুক্ষণের মধ্যে মাটিচাপা অবস্থায় তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর বলেন, সকাল থেকে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস মাটি চাপ পড়াদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। এরপর বেলা ১২টার দিকে সেনাবাহিনী উদ্ধার অভিযানে নামে। সেনাবাহিনী অভিযান শুরুর কিছুক্ষণের পর নিখোঁজদের মরদেহ পাওয়া যায়।

চামেলিবাগের অবস্থান সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩৫ নং ওয়ার্ড। এর আগে সকালে এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছিলেন, এই বাসায় দুই ভাই তাদের স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে থাকতেন। ভূমি ধসে ঘরের নিচে ৬ জন আটকা পড়েছিলেন। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও আমরা এসে এক ভাই, তার স্ত্রী ও তাদের সন্তানকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করতে পেরেছি। তবে আরেক ভাই, তার স্ত্রী ও ১ বছরের সন্তান নিখোঁজ আছেন।

কাউন্সিলর জানান, বৃষ্টির কারণে উদ্ধার অভিযান কিছুটা ব্যাহত হয়। এছাড়া রাস্তা ছোট হওয়ার কারণে ফায়ার সার্ভিস ও সিটি করপোরেশনের গাড়ি ঢুকতে পারেনি । তাই হাত দিয়েই উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হয়। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে। সঙ্গে পুলিশ, সিসিক কর্মী ও স্থানীয়রা সহযোগিতা করছেন।

সোমবার সকালে যুক্তরাজ্য থেকে ফিরেই সরাসরি দুর্ঘটনাস্থলে যান সিলেট সিটি মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এসময় তিনি বলেন, দুর্ঘটনাস্থলে যাওয়ার গলিটি অত্যন্ত সরু। যে কারণে ফায়ার সার্ভিস ও সিসিকের গাড়ি বা মাটি কাটার যন্ত্র ঢুকানো যাচ্ছে না। তাই উদ্ধার তৎপরতা চালাতে সেনাবাহিনীর সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

বিষয়:

সিলেটে টিলা ধসে একই পরিবারের ৩ জন মাটির নিচে

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সিলেট ব্যুরো

সিলেট নগরের মেজরটিলারর চামেলিবাগ এলাকায় টিলা ধসে একই পরিবারের তিনজন মাটিচাপা পড়েছেন।

আজ সোমবার সকাল ৬টার দিকে ভারী বৃষ্টিতে ভূমিধসে ঘর ভেঙে তাদের উপর পড়ে যায়। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে।

নিখোঁজরা হলেন- আগা করিম উদ্দিন, তার স্ত্রী রুজি বেগম এবং তাদের ছয় মাস বয়সী সন্তান তানিম।

শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী জানান- ভারী বৃষ্টির কারণে টিলার মাটি ধসে একটি আধাপাকা ঘরের উপরে পড়ে যায়। ঘরের নিচে ৩ জন লোক আটকা পড়েছেন। ঘরটি টিলার নিচেই ছিল।

তিনি বলেন, ‘সকাল ৭টার দিকে ভূমিধসের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।’

চামেলিবাগের অবস্থান সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩৫ নং ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই বাসায় দুই ভাই তাদের স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে থাকতেন। ভূমি ধসে ঘরের নিচে ৬ জন আটকা পড়েছিলেন। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও আমরা এসে এক ভাই, তার স্ত্রী ও তাদের সন্তানকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করতে পেরেছি। তবে আরেক ভাই, তার স্ত্রী ও ১ বছরের সন্তান এখনো আটকা আছেন।

কাউন্সিলর বলেন, বৃষ্টির কারণে উদ্ধার অভিযান কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া রাস্তা ছোট হওয়ার কারণে ফায়ার সার্ভিস ও সিটি করপোরেশনের গাড়ি ঢুকতে পারছে না। তাই হাত দিয়েই উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে। সঙ্গে পুলিশ, সিসিক কর্মী ও স্থানীয়রা সহযোগিতা করছেন।

সোমবার দুপুরে যুক্তরাজ্য ফিরেই সরাসরি দুর্ঘটনাস্থলে যায় সিলেট সিটি মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এসময় তিনি বলেন, দুর্ঘটনাস্থলে যাওয়ার গলিটি অত্যন্ত সরু। যে কারণে ফায়ার সার্ভিস ও সিসিকের গাড়ি বা মাটি কাটার যন্ত্র ঢুকানো যাচ্ছে না। উদ্ধার তৎপরতা ম্যানুয়ালি চালানো হচ্ছে।

মেয়র বলেন, প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে অনুরোধ করবো এই ৩ জনকে উদ্ধার করে দেওয়ার জন্য।

বিষয়:

এক দিনে বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় ২ কোটি ১৩ লাখ টাকা

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

গত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে যাতায়াতকারী যানবাহনগুলোর কাছ থেকে মোট ২ কোটি ১৩ লাখ ৪৩ হাজার টাকার টোল আদায় করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিস সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রাত ১২টা থেকে গত শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ২৩ হাজার ২৭৬টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। যাদের কাছ থেকে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ১৩ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। এর মধ্যে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব অংশে ১১ হাজার ২৯৮টি যানবাহন পারাপার হয়। এ থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৪ লাখ ২৪ হাজার ৬০০ টাকা। সিরাজগঞ্জে সেতুর পশ্চিম অংশে ১১ হাজার ৯৭৮টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৯ লাখ ১৮ হাজার ৪০০ টাকা।

বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, ‘অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে মহাসড়কে পশুবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ আগের তুলনায় বেড়েছে। কিন্তু স্বাভাবিক গতিতেই যানবাহন চলাচল করছে।’

আর মাত্র ৮ দিন পরেই পবিত্র ঈদ উল আযহা। ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে কোরবানির পশুবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ আগের তুলনায় বেড়েছে। কিন্তু স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের কোথাও আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত যানজটের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।


স্থগিত ১৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শেষ হলো স্থগিত হওয়া ১৯টি উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ। আজ রোববার সকাল ৮টায় এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই ১৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শেষ হলো। এর আগে চার ধাপে ভোট সম্পন্ন করেছে ইসি।

এবারে নেত্রকোণার খালিয়াজুরী, বাগেরহাটের শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও মোংলা, খুলনার কয়রা, পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া, বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া, পটুয়াখালীর পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকী, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, ভোলার তজুমদ্দিন ও লালমোহন এবং বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা উপজেলায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।

বাকি জেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হলেও ভোটার উপস্থিতি কম ছিল।

এই ১৯টি উপজেলায় তৃতীয় ধাপে ২৯ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবের কারণে তা স্থগিত করা হয়। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ইভিএম এবং বাকিগুলোতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এগুলোতে চেয়ারম্যান পদে ১১৯, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩২ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৯ জনসহ মোট ৩৩০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। ইসি জানিয়েছে, ১৭৯টি কেন্দ্রে ভোটের আগের দিন এবং ১ হাজার দুইটি কেন্দ্রে ভোটের দিন অর্থাৎ আজ সকালে ব্যালট গেছে।


ফিরলেন ৪৫ বাংলাদেশি, ফেরত গেলেন ১৩৪ বিজিপি-সেনা

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কক্সবাজার প্রতিনিধি

মিয়ানমারে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন ৪৫ জন বাংলাদেশি।

বঙ্গোপসাগরের শূন্যরেখার জলসীমায় আসা মিয়ানমারের নৌবাহিনীর জাহাজ ইউএমএস চিন ডুইন থেকে এসব বাংলাদেশিকে নিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি টাগবোট বা ছোট্ট জাহাজ রোববার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর মোহনা সংলগ্ন নুনিয়াছড়াস্থ বিআইডব্লিটিএ’র জেটি ঘাট এসে পৌঁছে।

একই সময় অপর একটি টাগবোটে করে ঘাটে আসেন মিয়ানমারের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল।

এর আগে সকাল ৭টার দিকে জেটি ঘাটে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আনা হয় মিয়ানমারে সংঘাতের জেরে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ১৩৪ জন বিজিপি ও সেনা সদস্যকে।

টানা ৩ ঘণ্টার বেশি সময় নানা প্রক্রিয়া শেষে ১৩৪ জন বিজিপি ও সেনা সদস্যকে গ্রহণ করে বাংলাদেশের নৌবাহিনীর সেই দুটি টাগবোটে করে এসে নিয়ে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিআইডব্লিটিএ ঘাট থেকে যাত্রা করে। তাদের সাগরে জলসীমার শূন্যরেখায় অবস্থানকারী মিয়ানমারের নৌবাহিনীর জাহাজে তুলে দেয়া হবে। সেখান থেকে জাহাজটি মিয়ানমারের উদ্দেশে রওনা দেবে।

বিজিবি ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের সূত্র জানিয়েছে, রোববার সকাল ৭টার দিকে মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনা সদস্যদের চারটি বাসে করে কক্সবাজার শহরের বিআইডব্লিউটিএর জেটি ঘাটে নিয়ে আসা হয়।

এর মধ্যে মিয়ানমারের কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা শেষে দেশে ফেরত আসা ৪৫ বাংলাদেশি নাগরিককে আনা হয় একই স্থানে। সেখানে চলে উভয় পক্ষের মধ্যে হস্তান্তর প্রক্রিয়া। পুরো কার্যক্রম শেষে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েসহ প্রতিনিধি দলকে বিদায় জানান উপস্থিত কর্মকর্তারা।

এ প্রক্রিয়া নিয়ে মিয়ানমার প্রতিনিধি দল বা বিজিবির কোনো কর্মকর্তাই সংবাদমাধ্যমকে কিছু বলতে রাজি হননি, তবে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন জানান, বিভিন্ন সময় মিয়ানমারের বাহিনীর হাতে আটক শেষে কারাভোগ শেষ করা ৪৫ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। ফেরত আসাদের মধ্যে কক্সবাজার, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ জেলার বাসিন্দা রয়েছেন। একই সঙ্গে মিয়ানমারে সংঘাতের জেরে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ১৩৪ জন বিজিপি ও সেনা সদস্যকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

এর আগে দুই দফায় ২৫ এপ্রিল ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ৬১৮ জনকে ফেরত পাঠানো হয়। একই সঙ্গে গত ২৫ এপ্রিল মিয়ানমার থেকে কারাভোগ শেষে ফেরত আনা হয়েছে আরও ১৭৩ বাংলাদেশিকে।

গত ২৫ এপ্রিল মিয়ানমার থেকে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরে ছিলেন ১৭৩ জন বাংলাদেশি। একই সঙ্গে ওইদিন বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ২৮৮ জন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি ও সেনা সদস্যকে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ।

তারও আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ৩৩০ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি, সেনা ও কাস্টমস কর্মকর্তাকে স্বদেশে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ।

এদিকে কারাভোগ শেষে দেশে ফেরা ৪৫ জনকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহাফুজুল ইসলাম জানান, ৪৫ জনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে রেখে যাচাই-বাছাইয়ের কার্যক্রম চলছে।

তিনি আরও জানান, মিয়ানমার থেকে ফেরত আসাদের মধ্যে কোনো আসামি থাকলে তাদের আইনি প্রক্রিয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হবে। না হয় স্বজনদের হস্তান্তর করা হবে। এটি সম্পন্ন করতে কিছু সময় লাগবে।


সোনারগাঁয়ে কোরবানির হাট মাতাবে সিন্দবাদ-আলাল-জায়েদ খান

আপডেটেড ৯ জুন, ২০২৪ ১২:১০
হাসান মাহমুদ রিপন, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) 

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে কোরবানির হাট মাতাবে সিন্দবাদ, আলাল, জায়েদখান, মেসি, রোনালদো, সম্রাট, সুলতান, সাদা বাবু, কালো বাবুসহ বিভিন্ন নামের বিশালদেহী সব গরু। সোনারগাঁয়ের কোরবানি হাটে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হলো এসব গরু। গরুগুলো এক নজর দেখতে প্রতিনিয়ত মানুষ ভিড় জমাচ্ছে খামারগুলোতে। নানা জাতের গরুর চাহিদার সঙ্গে বাহারি সব নামও নজর কাড়ছে ক্রেতাদের।

উপজেলার পশুর হাট ও ফার্মগুলো ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে ও দামের দিক দিয়ে সেরা অবস্থানে আছে সিন্দবাদ ও আলাল নামে আমেরিকান ফ্লাকবি জাতের ষাঁড় দুটি। এরপর আলোচনায় আছে জায়েদ খান, মেসি, রোনালদো।

সোনারগাঁ ডেইরি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, সিন্দবাদের ওজন প্রায় এক হাজার কেজি ও আলালের ওজন এক হাজার বিশ কেজি। ষাঁড় দুটির দাম হাঁকানো হয়েছে ১৭ থেকে ১৮ লাখ টাকা করে। উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের কাফাইকান্দা গ্রামের তার মালিকানাধীন সোনারগাঁ ডেইরি ফার্মে গত চার বছর ধরে আমেরিকান সিন্দবাদ, আলাল, সম্রাট, সুলতান, সিনবাদ, মেসি, রোনালদো, সাদা বাবু, কালো বাবুসহ ৭০টি ষাঁড় গরু তৈরি করেছেন তিনি। মেসির ওজন ৬০০ কেজি ও রোনালদোর ওজন ৫০০ কেজি। মেসির দাম ৮ লাখ ও রোনালদোর দাম ৬ লাখ টাকা।

তিনি আরও বলেন, সোনারগাঁ ডেইরি খামারে রয়েছে ফ্রিজিয়ান, শাহীওয়াল, গয়াল ক্রস ও ভুটানিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গরু। এই খামারের ভুটানি প্রজাতির ছোট গরুর বেশ চাহিদা রয়েছে। প্রাকৃতিক উপায়ে অর্গানিক খাদ্য দিয়ে কোরবানির জন্য তৈরি করা হয়েছে এসব গরু। খৈল, ভুসি, খড় ও নিজস্ব জমিতে উৎপাদিত ঘাসসহ স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ানো হয়েছে গরুগুলোকে।

জানা যায়, নজরুল ইসলাম তার নিজের দোকান সোনারগাঁ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের দুগ্ধ চাহিদা মেটানোর জন্য ২০০৯ সালে ক্ষুদ্র পরিসরে খামারটির যাত্রা শুরু করেন। পরবর্তীতে বাণিজ্যিকভাবে খামারটির কার্যক্রম শুরু হয়।

কোরবানি হাটে আরেক আলোচনার নাম জায়েদ খান। সোনারগাঁয়ে সনমান্দী ইউনিয়নের ভটেরকান্দি গ্রামে ফ্রিজিয়ান জাতের এই গরুটি দুই বছর আগে কেনেন আব্দুর রউফ। গরুটি খুব চঞ্চল ও অনেক লাফালাফি করে আর ডিগবাজি দিতে চায়। প্রায় ১ টন ওজনের বিশালদেহী জায়েদ খান নামে এই গরুটিকে এক নজর দেখতে প্রতিনিয়ত ভিড় জমাচ্ছে মানুষ। আব্দুর রউফ বলেন, ‘যেহেতু গরুটা খুব পাগলামি করে, লাফালাফি করে তাই গরুটির নাম দিয়েছি জায়েদ খান। প্রতিদিন দেড় হাজার টাকার খাবার খাওয়া মস্ত বড় ষাঁড়টির দাম হাঁকিয়েছি ৭ লাখ টাকা।’


১৯ উপজেলায় ভোট চলছে

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের স্থগিত হওয়া ১৯ উপজেলার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। উপজেলাগুলোর বিভিন্ন কেন্দ্রে আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে স্থগিত হওয়া ১৯টি উপজেলায় ভোটের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

ভোটের এলাকায় টহলে র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরাও। নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনে মাঠে নিয়োজিত রয়েছেন প্রতি তিন ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। আর নির্বাচনি অপরাধ আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচার পরিচালনায় নিয়োজিত রয়েছেন ১৯ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট।

ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম জানান, বাগেরহাট জেলার শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও মোংলা; খুলনা জেলার কয়রা, পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া; বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া; পটুয়াখালী জেলার সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি; ভোলার লালমোহন ও তজুমদ্দিন; ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঠালিয়া; বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা এবং নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ী উপজেলায় নির্বাচন হচ্ছে ব্যালট পেপারে।

আর পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হচ্ছে।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১১৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩২ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে ৩০ লাখ ৪৬ হাজার ৮৮ জন ভোটার এক হাজার ১৮১ কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন।

৮ মে থেকে ধাপে ধাপে দেশের উপজেলাগুলোয় ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ৯ জুন তা শেষ হবে, তবে কয়েকটি উপজেলায় মেয়াদপূর্তি না হওয়ায় নির্বাচন হবে আগামী বছর।


কুমিল্লা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার জামতলা সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।

আজ রোববার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার বাকশীমুল ইউনিয়নের জামতলা এলাকায় ভারতীয় সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. আনোয়ার হোসেন (৫০) বাকশীমুল ইউনিয়নের মীরপুর গ্রামের চারু মিয়ার ছেলে।

বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসনাত খন্দকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, মরদেহ ভারতীয় সীমান্তে আছে। যথাযথ প্রক্রিয়ায় মরদেহ পেলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মো. আবুল কাশেম জানান, মরদেহ কাঁটাতার সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে। এই মুহূর্তে ভারতীয় বিএসএফের তত্ত্বাবধানে আছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ভারত থেকে চিনি আনতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়:

উপবৃত্তির নামে টাকা আদায় চলছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ৯ জুন, ২০২৪ ১১:০৩
রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় উপবৃত্তির তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত এবং নগদ অ্যাকাউন্ট খোলার নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। শ্রেণিভেদে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

উপজেলার কুটিরচর স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৯ম শ্রেণি পড়ুয়া আল-আমিন বলেন, ‘উপবৃত্তির তালিকাভুক্তির জন্য তাদের কাছ থেকে ১৫০ টাকা করে নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। শ্রেণিশিক্ষকরা ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জোর করে ২০০ টাকা করে আদায় করেছেন।’

চরশৌলমারী বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র শান্ত বলেন, ভর্তির পর উপবৃত্তির তালিকায় নাম তুলে দেওয়ার জন্য ২০০ টাকা নিয়েছে।

বাইটকামারী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রদের কাছ থেকে ৪০০ এবং ৮ম শ্রেণির ছাত্রদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। সোনাভরী উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ১০৫ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত।

এ ছাড়া যাদুরচর উচ্চবিদ্যালয় এবং রৌমারী কেরামতিয়া মাদ্রাসাসহ উপজেলার প্রায় সব মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উপবৃত্তির তালিকার নামে টাকা আদায় করেছে বলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়।

অভিভাবক ফজর আলী আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ দিন আইনা দিন খাইয়া পোলাডারে লেখাপাড়া শিখাইতেছি। কিন্তু মাস্টারগো চাপে এহন আমি আর পারি না। সরকার বৃত্তি দেয়। সেই বৃত্তি নিতে আবার মাস্টারগো ৪০০ টেহা দেওয়া নাগে।’

অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাবা ভ্যানগাড়ি চালিয়ে আমার লেখাপড়া খরচসহ পরিবার চালায়। কিন্তু কয়দিন পরপর মাস্টাররা বলে আজকে উপবৃত্তির টাকা দেও, কাল সেশন ফি, বোর্ড ফি, পরীক্ষার ফি- এভাবেই শুধু টাকা দিতে হয়। না দিলে বলে পরীক্ষায় নাম্বার দিবে না।’

জানতে চাইলে সোনাভরী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান আলী বলেন, ‘শুধু ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে কম্পিউটার খরচ হিসাবে ১৫০ টাকা করে নিয়েছি।’

বাইটকামারী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি টাকা নিয়েছি, তবে সেটা উপবৃত্তির না।’

চরশৌলমারী বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমি উপবৃত্তির তালিকার নাম করে দেওয়ার জন্য ২০০ টাকা নেই নাই। ১০০ টাকা নিয়েছি খরচ হিসেবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. বদরুল হাসান বলেন, ‘টাকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ রকম কোনো সরকারি নীতিমালা নেই। যে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


banner close